পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের শিল্প ও ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ প্রণোদনা প্রকল্প গ্রহণ করেছে এর মধ্যে “স্টেট ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট সাবসিডি” (রাজ্য মূলধনী বিনিয়োগ ভর্তুকি) একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
প্রকল্পের প্রধান বৈশিষ্ট্য ও শর্তাবলী:
বিষয় | তথ্য |
প্রকল্পের নাম | পশ্চিমবঙ্গ প্রণোদনা প্রকল্প |
লক্ষ্য | নতুন শিল্প উদ্যোগ, ছোট, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পগুলোর জন্য মূলধনী বিনিয়োগে আর্থিক সহায়তা প্রদান |
সহায়তার ধরণ | মূলধনী বিনিয়োগের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ সাবসিডি হিসাবে প্রদান |
সহায়তার পরিমাণ | শিল্পের আকার ও স্থান অনুযায়ী ভিন্ন; ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্রাধান্য |
যোগ্যতার মানদণ্ড | পশ্চিমবঙ্গের শিল্প প্রতিষ্ঠান বা উদ্যোগ |
বিনিয়োগের ধরণ | নতুন যন্ত্রপাতি, কারখানা স্থাপন ও সম্প্রসারণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন |
অর্থ প্রদানের মাধ্যম | ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে |
প্রয়োজনীয় নথি | সংস্থার নথি, মূলধনী বিনিয়োগের প্রমাণ, বিনিয়োগের পরিকল্পনা |
প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও উপকারিতা:
- আর্থিক সহায়তা: এই প্রকল্পের অধীনে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের বিনিয়োগের জন্য ভর্তুকি পায়, যা তাদের আর্থিক ব্যয় কমাতে সহায়ক হয়।
- কর্মসংস্থান সৃষ্টি: নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির বিকাশে রাজ্যের কর্মসংস্থান সুযোগ বৃদ্ধি পায়, যা রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
- উন্নত অবকাঠামো: শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য উন্নত অবকাঠামো তৈরি হয়, যা উৎপাদনশীলতাকে বৃদ্ধি করে।
- ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়ন: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলিকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়, যা সামগ্রিকভাবে রাজ্যের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ করে।
- প্রযুক্তিগত উন্নয়ন: নতুন যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির ব্যবহার শিল্পে উন্নতি আনে এবং বিশ্বমানের পণ্যের উৎপাদনকে সহায়তা করে।
প্রকল্পের যোগ্যতার শর্তাবলী:
- পশ্চিমবঙ্গে নিবন্ধিত সংস্থা: আবেদনকারীর সংস্থা অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গে নিবন্ধিত এবং অনুমোদিত হতে হবে।
- নতুন শিল্প উদ্যোগ: প্রকল্পের অধীনে সহায়তা পেতে হলে সংস্থার একটি নতুন শিল্প উদ্যোগ বা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা থাকতে হবে।
- মূলধনী বিনিয়োগ: সংস্থার অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট মূলধনী বিনিয়োগ থাকতে হবে, যা নতুন যন্ত্রপাতি, অবকাঠামো বা উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহৃত হবে।
- সংস্থার আয়কর রিটার্ন: প্রকল্পের অধীনে সহায়তা পেতে হলে সংস্থার আয়কর রিটার্ন যথাযথভাবে প্রদান করতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- আবেদন ফর্ম পূরণ: সংস্থাগুলি নির্ধারিত ফর্মটি পূরণ করে জমা দিতে হবে, যা সংশ্লিষ্ট জেলা শিল্প কেন্দ্র বা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প বিভাগের মাধ্যমে পাওয়া যায়।
- প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্তি: আবেদন ফর্মের সাথে প্রয়োজনীয় নথি যেমন সংস্থার নথি, মূলধনী বিনিয়োগের প্রমাণ, কর রিটার্ন এবং বিনিয়োগ পরিকল্পনা জমা দিতে হয়।
- আবেদন যাচাই প্রক্রিয়া: আবেদন জমা দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আবেদন যাচাই করে এবং প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের ভিত্তিতে অনুমোদন প্রদান করে।
- অর্থ প্রদান: যাচাই প্রক্রিয়া শেষে আবেদনকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ভর্তুকির অর্থ প্রদান করা হয়।
প্রয়োজনীয় নথির তালিকা:
নথির নাম | বিবরণ |
সংস্থার নিবন্ধন প্রমাণ | পশ্চিমবঙ্গে নিবন্ধন প্রমাণপত্র |
মূলধনী বিনিয়োগের প্রমাণ | |
কর রিটার্ন | সর্বশেষ আয়কর রিটার্ন |
পরিকল্পনা ও প্রকল্প রিপোর্ট | বিনিয়োগ পরিকল্পনা এবং কাজের বিবরণ |
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বিবরণ | সংস্থার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য |
প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণের উপায়:
স্টেট ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট সাবসিডি প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে আবেদনকারীদের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প বিভাগ বা জেলা শিল্প কেন্দ্রের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এছাড়াও, অনলাইনে আবেদন ফর্ম জমা দেওয়ার সুবিধা উপলব্ধ।